দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় আব্বাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিতেন মা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় আমার আব্বাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতেন মা। শুধু তাই নয় আব্বা যখন জেলে থাকতেন, তখন মা আওয়ামী লীগের নেতাদের দল চালাতে সহযোগিতা করতেন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মা আব্বাকে সবকিছু থেকে কিছুক্ষণের জন্য আলাদা করে রাখতেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে ওঠার পেছনে আমার মায়ের অনেক অবদান রয়েছে। দেশের ক্রান্তিকালে অনেক সময় আমাদের বাসায় দলের মিটিং হতো। সিদ্ধান্ত না নিতে পেরে অনেক সময় আব্বা খুব চিন্তিত হয়ে পড়তেন। তখন মা তাকে শুয়ে রেস্ট নিতে বলতেন।’
‘মা আব্বাকে বলতেন, অনেকে অনেক রকম কথা বলবে। তাতে বিরক্ত হওয়া বা রাগান্বিত হওয়া যাবে না। যে লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করছো; সে লক্ষ্যে তোমাকে পৌঁছাতে হবে। গোটা দেশ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। তোমার মনে যে কথাটা আসবে সেটাই বলবে।’-বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসায় অনেক সময় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠত হতো। ছয়, দফা না আট দফা হবে এ নিয়ে নেতারা আলোচনা করতেন। ওইদিন সব নেতারা আমাদের বাসাতেই খেতেন। এতগুলো মানুষের রান্না করা কি সহজ কাজ ছিল। তখনতো ডেকোরেটর ছিল না। আমরা প্লেট-গ্লাস মেজে দিতাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই একজনকে দলের সেক্রেটারি করা হলো, তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হতো। এজন্য এক সময় কোনো নারীকে দলের সেক্রেটারি করার প্রস্তাব দেয়া হলো। সে অনুযায়ী দলের দাযিত্ব দেওয়া হলো আমেনা বেগমকে।’
নিজের মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের মাঝেই তাকে চোখ মুছতে দেখা যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ